,

র‌্যাব পুলিশের পরিচয়ে চলছে ডাকাতি ও অপহরন সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রশাসনের

মোঃ মহিবুল ইসলাম (মুহিব) ॥ দেশের জনগণের নিরাপত্ত্বা বিধানের দায়িত্ব আইন শৃংখলা বাহিনীর। অথচ সেই বাহিনীর বিরোদ্ধেই এখন উঠছে অপহরণ ও ডাকাতির অভিযোগ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ অভিযোগ আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। অনেক ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কখনো ডিবি পুলিশ আবার কখনো র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের স্বজনদের। অপহৃত অনেকেরই জীবিত বা মৃত সন্ধ্যান পাওয়া গেলেও বেশির ভাগই রয়ে যাচ্ছেন নিখোঁজদের তালিকায়। এদিকে দেশের অনেক এলাকায় বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যাও বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জনমনে। এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলছেন মুক্তিপন আদায়কারী চক্র ও ব্যক্তিগত শত্র“তার জের ধরে সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে র‌্যাব পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। ভূক্তভোগী পরিবারগুলো অপহৃত স্বজনদের খোঁজে র‌্যাব পুলিশের কাছে গেলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। জানতে পারছেন না তাদের স্বজনরা কোথায় কি অবস্থায় আছেন, জীবিত না মৃত। এদের মধ্যে অনেকেই ফিরে আসছেন জীবিত অনেকেই মৃত। আবার অনেককেই মুক্তিপন দিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের জেলা সহ সারাদেশ ব্যাপী বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। তবে অনেক ক্ষেত্রে র‌্যাব পুলিশের মাধ্যমে অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আবার অনেক পরিবার ইচ্ছে করেই আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে যাচ্ছেন না। তাদের আদরের মানুষটির নিরাপত্ত্বার জন্য তারা নিজেরাই অপহরণকারীদের চাহিদা মত মুক্তিপন দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনছেন। এদিকে বিশিষ্ট জনেরা মনে করছেন এভাবে দেশের মধ্যে অস্ত্র হাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতি ও অপহরণ চলতে থাকলে এদেশের মানুষ একদিন আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। এদিকে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জেলায়ও অহরহ ঘটছে এসব ঘটনা। সম্পতি চুনারুঘাট উপজেলার শাইল গ্রামের মৃত নয়মোল্লার ছেলে মোঃ জয়নুল্লাহ (৩৫) ৯ নভেম্বর সকাল ১১ ঘটিকার সময় শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন, কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি পাড় হয়েই কিছুদূর আসতেই পিছন দিক থেকে আসা একটি কালো রঙ্গের আইএস গাড়ি তাকে বহনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটির গতি রোধ করে। অস্ত্রহাতে র‌্যাবের পোষাকধারী ৬-৭ জন লোক নেমে আসে। তারপর মোঃ জয়নুল্লাহকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। তার কাছে থাকা নগদ ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিকাল ৪ঘটিকার সময় নরসিংদী জেলার নারায়নপুর নামক স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায়। এরপর তার পরিবার খবর পেয়ে তাকে নিয়ে আসে।


     এই বিভাগের আরো খবর